
মিলন বৈদ্য শুভ, রাউজান (চট্টগ্রাম):
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা কেরানীহাটস্থ শ্রীমৎ স্বামী স্বরূপানন্দ মঠ ও স্বামীজীর পবিত্র জন্মভিটিতে (স্বর্গীয় দীলিপ দাশের বাড়ি) ভক্তিমূলক আয়োজনে পালিত হয়েছে শ্রীমৎ স্বামী স্বরূপানন্দ গিরি মহারাজের ১৫৪তম শুভ আবির্ভাব তিথি। দু’দিনব্যাপী এই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় বিশ্বশান্তি শ্রীশ্রী গীতা যজ্ঞ, দীক্ষা দান, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, সম্মাননা স্মারক প্রদান, স্বামীজীর জীবন বেদ আলোচনা সভা ও অন্নপ্রসাদ বিতরণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেপাল কর, সঞ্চালনায় ছিলেন পরমেশ ধর ও অধ্যাপক সঞ্জীব ঘোষ।
প্রধান অতিথি ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড শংকর মঠের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সনাতনী বান্মী ও বহু ধর্মগ্রন্থের প্রণেতা স্বদেশ চক্রবর্ত্তী।
সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন চিত্রা রাণী দে, অমর কৃষ্ণ বনিক, কৃষ পদ ধর, দুলাল শীল ও কানু কুমার দে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
ক্ষেত্র বিগ্রহ মন্দিরের সিনিয়র সহসভাপতি মৃদুল পারিয়াল এবং শ্রীশ্রী কৈলাসেশ্বরী কালী মন্দিরের সভাপতি প্রকৌশলী মাখন বনিক।
সম্মানিত আলোচকবৃন্দের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা স্বপন চৌধুরী,
শ্রীশ্রী রক্ষাকালী মন্দির পাঠাগার পরিচালক সিদুল ধর,আশা লতা কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী স্ক্যাইল্যাব দে,বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মিলন বনিক,সমাজ ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক চনন্দ বিশ্বাস,শ্রীশ্রী রঘুনাথ ঠাকুর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু ধর,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রাজীব ঘোষ, কৈলাসেশ্বরী কালী মন্দিরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সঞ্জয় বনিক, রক্ষা কালী মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম পারিয়াল।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ স্বামী স্বরূপানন্দ মঠের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত দাশ।
উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুবেল ঘোষ,শ্রীমৎ স্বামী স্বরূপানন্দ মঠের সভাপতি প্রবাল কৃষ্ণ দে,
ভূমিদাতা সবুজ দাশ ও কাঞ্চন দাশ।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে শ্রীমৎ স্বামী স্বরূপানন্দ গিরি মহারাজের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং তাঁর দীক্ষা, আধ্যাত্মিকতা ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন।
এই মহতী ও মঙ্গলময় উৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো ভক্ত-শ্রদ্ধালু নারী-পুরুষ সমবেত হয়ে শ্রীমৎ স্বামী স্বরূপানন্দ মহারাজের আবির্ভাব তিথিকে পরিণত করেন ভক্তি, শ্রদ্ধা ও পুণ্যময় মিলনমেলায়।