
আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির বাঁধন স্টাফ রিপোর্টর
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, ধর্ষণ, অপহরনসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান ঢালিয়ে আসছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম একজন ২৫ বছর বয়সের শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে। ভিকটিমের বাবা মা ভাই ঢাকায় থাকেন এবং ভিকটিম তার দাদি আনোয়ারা বেগম এর সাথে পুঠিয়া থানাধীন দমদমা গ্রামে থাকেন। আসামি আজিজুল মোল্লা (২৮) ভিকটিমের সম্পর্কে ঢাঢা হয়। গত ২২/১০/২০২৫ ইং দুপুর অনুমান ১২:৩০ ঘটিকায় ভিকটিমের দাদি বাড়িতে না থাকায় আসামি মোঃ আজিজুল মোল্লা রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন দমদমা গ্রামস্থ ভিকটিমের বাড়ির দক্ষিণ দুয়ারী ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমকে ভয়-ভীতি দেখে তার ইচ্ছোর বিরদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণ করার শেষে ভিকটিমকে কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরবর্তীতে আসামী বিভিন্ন সময় ও তারিখে ভিকটিমকে পুনরায় একই ঘটনাস্থলে এসে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের দাদি ঘটনা জানতে পারেন এবং ভিকটিমের বাবা-মাকে বিষয়টি খুলে বলেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ঢাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যাহা রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার মামলা নং-২৫, তারিখ-২৮/১০/২০২৫ খ্রিস্ত। ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২০ এর ৯(১)। ঘটনাটি দেশব্যাপী প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব উক্ত ঘটনার হায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, অদ্য ২৬/১০/২০২৫ তারিখ ১৯:২০ ঘটিকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সদর কোম্পানি, র্যাব-৫, রাজশাহী ও সিপিসি-২. র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর একটি আভিযানিক দল তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচনপত্রের প্রক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে জিএমপি গাজীপুর এর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মোমেনশাহ রোড, টি আই সি গেইট এলাকা হতে উক্ত ধর্ষণ মামলার এজারনামীয় মূলহোতা আসামি ১। মোঃ আজিজুল মোল্লা (৪৮), পিতা-মৃত সেরাজ মোয়া, সাং-দমদমা, থানা-পুঠিয়া, জেলা-রাজশাহী কে গ্রেফতার করে। আসামীকে উক্ত ধর্ষণ মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি মূলে হস্তান্তর করা হইয়াছে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা।