নয়া বাংলা ডেস্ক ঃ
বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ১/১১ পটভূমি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিএনপি'র ধারাবাহিক রক্তস্নাত গণআন্দোলন এক অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। এই গণসংগ্রামের পথ ধরেই জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে এবং খুনি হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আজ ১৮ কোটি মানুষ একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য উন্মুখ।
কিন্তু জাতির এই আকাঙ্ক্ষার মুহূর্তে আমরা অত্যন্ত গুরুতর একটি ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। সেই একই কুচক্রী মহল, যারা গত ১৬ বছর প্রকাশ্যে ও ছদ্মবেশে পলাতক হাসিনাকে সহযোগিতা করেছিলো এবং অবৈধ উপায়ে নির্বাচন পদ্ধতি ধ্বংস করার কুবুদ্ধি জুগিয়েছিলো, তারাই আজ ভোল পাল্টিয়ে মাঠে নেমেছে।
এই গোষ্ঠী এখন কথিত পিআর (P.R.) ও গণভোটের মতো অগ্রহণযোগ্য ধুঁয়া তুলে মূলত হাসিনার কায়দায় রাষ্ট্র কাঠামো জবর দখলের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে চাইছে।
তাদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট: জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন একটি অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া। এটি হলো গণতন্ত্রের পথে এক চরম অশনি সংকেত এবং জাতিকে ১৯ বছর ধরে ভোটারবিহীনভাবে জিম্মি করে রাখা অরাজকতার পুনরাবৃত্তি মাত্র।
অতীতে যারা অবৈধ সুবিধাভোগী হিসেবে ছদ্মনাম ও ছদ্মবেশে দেশের গণতন্ত্রকে বিক্রি করেছিলো, তাদের আজকের এই 'সুষ্ঠু নির্বাচনের' বিরোধিতা বা বিকল্প পদ্ধতির প্রস্তাব জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জনগণের মূল ও একমাত্র দাবি হলো, দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন, যা বিএনপি'র গত ১৮ বছরের ধারাবাহিক রক্তস্নাত গণআন্দোলনের দাবির প্রতিচ্ছবি।
আমরা দেশের সকল দেশপ্রেমিক নাগরিক ও গণতন্ত্রকামী শক্তিকে আহ্বান জানাই, ভারত ও পাকিস্তানের মদদপুষ্ট এই রাষ্ট্রবিরোধী ও দেশবিরোধী কুচক্রী মহলের দুর্বৃত্তায়ন থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে ঐক্যবদ্ধ হোন। গণঅভ্যুত্থানের অবদানকে স্থায়ী রূপ দিতে হলে, কোনো উশৃঙ্খলতা বা ষড়যন্ত্র না করে, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় একটি গঠনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে শাসনভার অর্পণ করতে হবে।
অন্যথায়, ভারত ও পাকিস্তান এবং ইসকনপন্থীদের ষড়যন্ত্র সফল হলে দেশ অস্থিতিশীলতা ও গৃহযুদ্ধের দিকে নিশ্চিতভাবেই ধাবিত হবে। জনগণের বিজয় নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল অপতৎপরতা রুখে দিতে জাতি প্রস্তুত।
(বিবৃতিদাতা :চেয়ারম্যান - তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ।)